নিজস্ব প্রতিবেদক •
ঈদগাঁও উপজেলা প্রশাসন ও বনবিভাগের যৌথ অভিযানে অবৈধভাবে উত্তোলিত বিপুল পরিমাণ বালু জব্দ করা হয়েছে।
৫ অক্টোবর ( বৃহস্পতিবার) ঈদগাঁও ও সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ জাকারিয়ার নেতৃত্বে ও কক্সবাজার উত্তর বনবিভাগের মেহেরঘোনা রেঞ্জ কর্মকর্তা মোঃ রিয়াজ রহমানের সহযোগিতায় যৌথ অভিযান চালিয়ে কৃষি জমি থেকে অবৈধভাবে উত্তোলনকৃত বিপুল পরিমাণ বালু জব্দ করা হয়। এসময় অবৈধভাবে উত্তোলিত বিপুল পরিমাণ বালু উদ্ধার করা হয়।
সূত্র জানায়, কক্সবাজার উত্তর বনবিভাগের আওতাধীন মেহেরঘোনা রেঞ্জের ঈদগাঁও উপজেলার কালিরছড়া ও মাছুয়াখালীর বিটের কাঞ্চিরাঘোনা এজাহারঘোনা, লুইয়া ঘোনা এলাকার মাছুয়াখালি খাল এলাকার ১ নং খাস খতিয়ানভুক্ত ৭ টি দাগের ৪.৪৩ একর জায়গায় বালু উত্তোলনের ইজারা থাকলেও ইজারাদার কর্তৃক ইজারার জায়গা বাদে ব্যক্তি মালিকানাধীন কৃষি জমিতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের অভিযোগ পাওয়া যায়। অভিযোগের প্রেক্ষিতে অভিযান পরিচালনা করলে ঘটনার সত্যতা প্রমাণিত হয়।
মেহেরঘোনা রেঞ্জ কর্মকর্তা মোঃ রিয়াজ রহমান বলেন, ইজারার বাইরে গিয়ে ব্যক্তি মালিকানাধীন কৃষি জমিতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে সদর ও ঈদগাঁও উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা ও বনবিভাগ যৌথ অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ বালু জব্দ করা হয়।
বন ও বনজ সম্পদ রক্ষয় প্রশাসন ও বনবিভাগের যৌথ অভিযান ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে অব্যাহত থাকবে। বনও বালুখেকোর কোন ষড়যন্ত্র আমাদের কার্যক্রমকে দমাতে পারবে না। সরকারি সম্পদ রক্ষায় আমরা সজাগও সতর্ক রয়েছি।
তিনি আরো বলেন,জব্দকৃত বালু বনবিভাগ ও স্থানীয় মেম্বারের জিম্মায় দেওয়া হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জড়িতদের বিরুদ্ধে পরিবেশ আইনে মামলা দায়ের করার নির্দেশ প্রদান করেন।
সদর ও ঈদগাঁও উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ জাকারিয়া বলেন, ইজারার বাইরে গিয়ে ব্যক্তিগত মালিকানাধীন জায়গায় অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের খবর পেয়ে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ বালু জব্দ করা হয়েছে। জব্দ কৃত বালুর পরিমাণ ও দাম নির্ধারণ করার জন্য একটি কমিটিও গঠন করা হয়।
অভিযানে পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা,ভূমি কর্মকর্তা ও মেহেরঘোনা রেঞ্জের সকল বিট কর্মকর্তা, স্টাফ ও ভিলেজারগণ অংশগ্রহণ করেন।
কক্সবাজার উত্তর বনবিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মোঃ আনোয়ার হোসেন সরকার বলেন, বনও বনজসম্পদ রক্ষার্থে বনবিভাগ সজাগ ও সতর্ক রয়েছেন।বনবিভাগের চোখকে ফাঁকি দিয়ে অবৈধ কার্যক্রমের বিরুদ্ধে বনবিভাগের নিয়মিত টহল জোরদার করা হয়েছে।
অবৈধভাবে পাহাড়ি মাটি,বালি ও কাঠ পাচার রোধে বনবিভাগের নিয়মিত অভিযান চলমান রয়েছে। সরকারি সম্পদ রক্ষার্থে বনবিভাগকে তথ্য দিয়ে সহযোগিতার আহ্বান জানান তিনি।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-